স্টাফ রিপোর্টার: চুনারুঘাট উপজেলার আব্দুল্লাহপুর, হলহলিয়া, বদরগাজী এলাকা থেকে রাতের আঁধারে পাচার হচ্ছে মূল্যবান সিলিকা বালু। ইজারা না থাকা সত্ত্বেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পাচার করে কোটি টাকার বাণিজ্য করছে একটি চক্র। এতে করে পরিবেশ ও সড়কের ক্ষয়-ক্ষতির পাশাপাশি মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এই চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পাইকপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রমজান মিয়ার ছোট ভাই শাহজাহান মিয়া নামে এক ব্যক্তি। সে আব্দুল্লাহ পুর এলাকার আব্দুল মতলিবের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে গিলানী ছড়ার হলহলিয়া, আব্দুল্লাহপুর, দেউন্দিছড়া এবং সুতাং নদীর বদর গাজী এলাকা থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে তারা। আওয়ামী লীগের আমলে দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে যুবলীগ নেতা রমজান মিয়ার নেতৃত্বে ইজারা বহির্ভূত স্থান থেকে বালু উত্তোলন ও বিক্রি চললেও বর্তমানে সেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তার ছোট ভাই শাহাজাহান মিয়া। শাহজাহান মিয়ার সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন একই এলাকার ফরহাদ মিয়া, হলহলিয়া এলাকার সমুজ আলী, কাঠাল বাড়ি এলাকার খয়ের মিয়া, মিস্টু মিয়াসহ কয়েকজন। চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করলে হামলা মামলার শিকার হতে হচ্ছে স্থানীয়দেরকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বদরগাজী এলাকার এক বাসিন্দা জানান, আওয়ামী লীগের সময়ে যুবলীগ নেতা রমজান এবং বর্তমানে তার ভাই শাহজাহান অবাধে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে। এমনকি বালু উত্তোলনের জন্য গিলানী ছড়ার বাধ পর্যন্ত কেটে ফেলেছে তারা। কিন্তু প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আব্দুল্লাহপুর এলাকা থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে এবং হলহলিয়া এলাকা থেকে শ্রমিক দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উত্তোলিত এসব বালু রাতের আঁধারে ট্রাক্টর যোগে হবিগঞ্জসহ জেলার বিভিন্ন অবৈধ ডিপুতে পাচার করা হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে ট্রাক যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে উচ্চমূল্যে বিক্রি করেন তারা।
ডেওয়াতলী এলাকার বিল্লাল মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান, প্রতি রাতে ৩০-৪০ ট্রাক্টর বালু পাচার হয়। এতে করে শায়েস্তাগঞ্জ-দেউন্দি সড়কে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বালু উত্তোলন ও পাচারের বিষয়ে শাহজাহান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
একই বিষয়ে চুনারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানান।