শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে হাসপাতালের অভিযুক্ত দুই কর্মচারীর অপরাধ ধামাচাপা দিতে কর্তৃপক্ষের তোরজোর।
স্টাফ রিপোর্টারঃ শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে হাসপাতালে পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে কর্মরত সাইদুর রহমান ও কবরী রানী দাস এর বিরুদ্ধে কর্তব্যরত দায়িত্ব অবহেলা বিভিন্ন দূর্নীতি এবং অনিয়ম প্রসঙ্গে ০২-০৯-২০২৪ তারিখে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শায়েস্তাগঞ্জ এলাকাবাসী ও সাধারন শিক্ষার্থীরা। ঢাকা ডিএমও দপ্তর কর্তৃক বিভাগীয় চিকিৎসা কর্মকর্তা (অঃদাঃ) ডাঃ সাজেদা বেগম ডেইজি, নং-সি/১০/২৪- ১৮-০৯-২৪ খ্রিঃ তারিখ অভিযোগ এর বিষয়ের আলোকে সাদিকা ইয়াসমিন(ফার্মাসিস্ট), মোঃ সাইদুর রহমান(পরিচ্ছন্নকর্মী), কবরী রানী দাস(পরিচ্ছন্নকর্মী) এবং ডাঃ মাহমুদা আক্তার(এ এস/ সিলেট) উল্লেখিত ব্যাক্তিদেরকে আগামীকাল ২২-০৯-২০২৪ তারিখ বেলা ১২ ঘটিকার সময় তদন্তের স্বার্থে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু উক্ত তদন্তে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসী ও সাধারন ছাত্ররা। সাধারন ছাত্রদের বক্তব্য সুষ্টু তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে লিখিত আকারে অভিযোগকারী ১০ জন সাধারন শিক্ষার্থীদের ও জিজ্ঞেসাবাদ এর জন্য রাখা উচিত ছিল। অভিযোগকারীদের কাছে সব ধরনের অভিযোগ এর সাক্ষী প্রমান রয়েছে। অভিযোগকৃত স্থান শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে হাসপাতালে তদন্ত হলে অভিযোগকারী সাধারণ জনগণও ছাত্ররা উপস্থিত থেকে তাদের অভিযোগ গুলো তোলে ধরতে পারতেন। কিন্তু দূর্নীতিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য সুকৌশলে ঢাকা তদন্ত নেয়া হয়েছে বলে তাদের ধারণা। উক্ত বিষয়ে সুষ্টু তদন্ত না হলে এই দূর্নীতির বিষয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষনা দিবেন সাধারণ ছাত্ররা। তারা বলছেন এসব দূর্নীতিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য সহকারী সার্জন মাহমুদা বেগম আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সাধারণ ছাত্ররা জানান মাহমুদা বেগম এর বিরুদ্ধে ও রয়েছে একাধিক অভিযোগ সিলেট, কুলাউড়া, শ্রীমঙ্গল এবং শায়েস্তাগঞ্জ এসব হাসপাতালে ওনার ডিউটি থাকলেও সিলেট এর বাহিরে তিনি কখনো ডিউটি করতে আসেন না। অথচ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় হাজিরা দেখিয়ে তিনি সরকারী রাজস্বখাত থেকে ভূয়া টিএ বিল বানিয়ে সরকারি টাকা হাতিয়ে নেন। তাছাড়া কুলাউড়ার পরিচ্চন্নকর্মী পদে কর্মরত কৃষান চন্দ্র দাস কে তিনি মাসিক ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছেন। কৃষান এখন নিজ গ্রামে সেলুন এর ব্যবসা করে এবং সরকারী চাকরি বাবদ বাকি অর্থ সে ঘরে বসেই পেয়ে যায়। তাছাড়া শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে হাসপাতালে পরিচ্চন্নকর্মী পদে কর্মরত রহিম লাল সে চাকুরি জীবনের শুরু থেকেই কখনো হাসপাতালে ডিউটি পালন করেন নাই তার কাছ থেকে ও মাসিক হারে মাহমুদা বেগম ১০ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নেন। এদিকে ঢাকায় রহিম লাল ব্যবসা করেন আর সরকারি চাকুরি বাবদ বাকি অর্থ তিনিও ঘরে বসে পেয়ে যান। শায়েস্তাগঞ্জের পরিচ্ছন্ন কর্মী কবরী রানী দাস এবং সাইদুর রহমান তারাও বিভিন্ন ভাবে মাহমুদা বেগম কে খুশী রেখে তাদের স্বার্থ হাছিল করে নেন। এবং সপ্তাহে ২ দিন ডিউটি করে ৫ দিন বাড়ীতে বসে বেতন পেয়ে যাচ্ছেন অথচ সপ্তাহে দুই দিন ডিউটি করলেও সারা মাসের হাজিরার স্বাক্ষর হাজিরা বহিতে টিকই দেখানো হয়। আর এসব দূর্নীতি ও সিন্ডিকেট এর সাথে প্রকাশ্যে জড়িত মাহমুদা বেগম এবং তার সহযোগী ফার্মাসিস্ট সাদিকা ইয়াসমিন। তাছাড়া লক্ষ লক্ষ টাকার ঔষুধ বিক্রি সহ নানান অভিযোগ ও অভিযোগের প্রমাণ শায়েস্তাগঞ্জের জনতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে রয়েছে বলে তাদের দাবী। তাই সাধারন শিক্ষার্থীরা সুষ্টু তদন্তের স্বার্থে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে হাসপাতালে এসে যেনো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তদন্ত করার দাবী জানান তারা এবং দেশের ও এলাকার স্বার্থে সব ধরনের প্রমাণাদি নিয়ে উপস্থিত থাকবেন।