সারাদেশে চলছে অবৈধ পলিথিন কারখানার আখড়া, ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পরিবেশ দূষণের অন্যতম প্রধান উপকরণ হচ্ছে নিসিদ্ধ পলিথিন। বাংলাদেশ ভাসছে এখন পলিথিনের উপর । শহরের আশপাশে যে সব নদ ,নদী, পুকুর,খাল, বিল, ঝিল , ডোবা, নালা, রয়েছে তার অধিকাংশই ভরাট হয়েগেছে অবৈধ পলিথিন ব্যাবহারের কারনে। গাজীপুর টঙ্গীতে আইনের তোয়াক্কা না করে সরকারি ভাবে নিষেধাজ্ঞা।থাকলেও মানছেন না কোনো কিছুই গড়ে উঠেছে অবৈধ পলিথিন কারখানা । অনুসন্ধানে জানা যায় যে কিছু অসাধু চক্র দীর্ঘ দিন যাবৎ শুধু ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে অবৈধ পলিথিন উৎপাদন করে আসছে । ও বাজার জাত করে আসছে। এ সব কারখানায় কোন বৈধ অনুমোদনন নাই বলে জানা যায়। আবার কিছু মালিক বলেন যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে কারখানা পরিচালিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আবার কিছু মালিক বলেন কারখানায় গার্মেন্ট পণ্য পলি তৈরির অনুমতি থাকলেও নেপথ্যে দেশিও বাজারজাত পলি তৈরি করছে বলে জানাজায়। প্রতিদিন এসব কারখানায় লক্ষ লক্ষ টাকার অবৈধ পলিথিন উৎপাদন করে গাজীপুর, ময়মনসিংহ , ঢাকা, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ , দিনাজপুর, চট্টগ্রাম । অবৈধ পলিথিন উৎপাদন করে আসছে । গাজীপুরে, টঙ্গী বাজারে, ভোগড়া বাইপাস, চৌরাস্তা, ও কোনাবাড়ী , মাওনা, শ্রীপুর বরমি ,
অবৈধ পলিক কারখানা টঙ্গীতে ১০ টি কারখানা আছে এই গুলো হচ্ছে, টঙ্গী মিল গেট, ও বড় দেওড়া, বাদাম , সিংবাড়ী রোড, তিলারগাতি,সাতাইশ চৌরাস্তা, সখি উদ্দিন রোড, মুক্তার বাড়ী রোড, স্টেশন রোড, কোনাবাড়ি কলেজ গেট, সফিপুর আন্ধার মানিক রোড,
এলাকার স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় দীর্ঘ দিন যাবৎ সর্বারহ করে আসছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যেন কিছুই দেখতে পাচ্ছে না। সাধারণ মানুষের চোখ ধোলাই করার লক্ষে মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করেন। মূলত এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ দোকান ব্যাবসায়ীরা। কিন্তু উৎপাদন কারী ও সর্বারাহকারী থাকেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুরের ডেপুটি ডিরেক্টর মোঃ আরেফিন কে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, আমার সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিব, সমাধানের আশ্বাস দেন, তিনি প্রতিবেদকে বলেন আমি নতুন জয়েন করেছি, ইতিপূর্বে টঙ্গীতে পলিথিন কারখানা বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে কয়েকটি কারখানা সিলগালা করে দেয়া হয়েছে,। তবে অচিরেই আবার অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান। অনুসন্ধানে জানা যায়, গত কয়েক মাস আগে পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযানে মুদাফা বড় দেওড়া এলাকার হাবিবের পলিথিন কারখানা সিলগালা করা হলেও আবার কোন শক্তির বলে আবার চালু হলো বিষয় টি কর্তৃপক্ষ ক্ষতিয়ে দেখা প্রয়োজন ।
কারখানা মালিক মোঃ ফারুক নিজেকে ডেপুটি ম্যানেজার হেড কোয়ার্টার পরিবেশ অধিদপ্তর মাহফুজ সাহেবের আপনজন বলে দাবি করেন। দোলন এন্টার, মালিক মোঃ হেলাল, মিলন গেট, কলেজ গেট, মোঃ মান্নান, কলেজ গেট রোড , দুলাল গাজীপুরা সাতাইশ, সহ একাধিক কারখানা রয়েছে। কারখানার মালিক বলে, পরিবেশ অধিদপ্তর, লোকাল থানা , ডিবি , পুলিশ, সিআইডি সহ সকল কে ম্যানেজ করেই আমাদের কাজ করতে হয়। এছাড়া টঙ্গী বাজার, গাজীপুর বাইপাস কাঁচা বাজার, গাজীপুর চৌরাস্তা কাঁচাবাজার, কোনাবাড়ি কাঁচাবাজার, মাওনা চৌরাস্তা, কাঁচাবাজার, সফিপুর বাজার, প্রতিদিন রাতে ও সকালে , উৎপাদিত পলিথিন পৌঁছায়ে দিতে বিভিন্ন গাড়ীতে করে কার্ভার ভ্যান সিএনজি ট্রাক পেকাব ভ্যান করে পৌঁছায়ে দেন ।
১৪/১৭/২০২৪ ইং।